বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ইস্ট ডেলটা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর মুহাম্মদ সিকান্দার খান বলেছেন দেশে রাজনীতি, সমাজনীতি ও অর্থনীতি সহ কোন নীতিই শুদ্ধভাবে পরিচালিত হচ্ছে না। ফলে দেশ ও জাতি ক্রমশঃ পেছনের দিকে চলে যাচ্ছে। তিনি বলেন, দেশে প্রতিদিন নতুন নতুন অপরাধ সংঘঠিত হচ্ছে। এমনকি নিস্পাপ শিশুরাও এর থেকে রেহায় পাচ্ছে না। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব বঙ্গবন্ধু হলে মাসিক চাটগাঁ ডাইজেস্ট এর ২৮তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত একুশে পদকপ্রাপ্ত দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম.এ. মালেক এর সংবর্ধনা ও ২০ সিনিয়র সিটিজেন সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তৃতায় প্রফেসর সিকান্দার খান উপরোক্ত অভিমত ব্যক্ত করেন।
ইঞ্জিনিয়ার আসাদ উল্লাহ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্বিবদ্যালয়ে উপ-উপাচার্য প্রফেসর বেনু কুমার দে, চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ মোজাহেদুল ইসলাম চৌধুরী ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য এডভোকেট এ এস এম বদরুল আনোয়ার। মাসিক চাটগাঁ ডাইজেস্টের সম্পাদক সিরাজুল করিম মানিক এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কবি কোহিনুর আখতার শাকী। অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন থেকে তেলোয়াত করেন অধ্যক্ষ মাওলানা আ ন ম আবদুশ শাকুর। মৃত্যুবরণকারী প্রবীন ব্যক্তিদের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন আলহাজ্ব মীর মোহাম্মদ শাহজাহান।
প্রধান অতিথি প্রফেসর মুহাম্মদ সিকান্দার খান আরো বলেন, শিক্ষাঙ্গনে ছাত্র-শিক্ষক এর সম্পর্ক ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা ক্লাসমুখী হচ্ছে না। নেতানেত্রীরা বড় বড় কথা বলেন, তিনি প্রশ্ন করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কি এরকম দেশ চেয়েছিলেন ? তিনি বলেন, এখনও সময় আছে। সবক্ষেত্রে নীতি নৈতিকতাকে অগ্রাধিকার দিন, সুশাসন গড়ে তুলুন। প্রবীণ ব্যক্তিদের অভিজ্ঞতা দেশ ও জাতির উন্নয়নে কাজে লাগান। দেশকে এগিয়ে নেন।
তিনি সম্মাননা প্রসঙ্গে বলেন, সব সম্মাননা মানুষকে আরো দায়িত্বশীল করে তুলে। তিনি সব ধরনের সম্মাননাপ্রাপ্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সুস্থ সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষানীতি সহ সুশাসন প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি সম্মাননা দেয়ার ক্ষেত্রে সঠিক নীতিমালা অনুসরণের অনুরোধ করে বলেন, যোগ্য, নীতিবান ও দেশ জাতির বরেণ্য ব্যক্তিদের সম্মাননা দেয়ায় সংস্কৃতিক প্রবর্তন করুন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম.এ. মালেক-কে একুশে পদক পাওয়ায় ক্রেষ্ট প্রদান এবং ২০ সিনিয়র সিটিজেনদের সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান করেন।
সংবর্ধিত ২০ সিনিয়র সিটিজেন হচ্ছেন প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ, এ কে এম সিরাজুল হক, মোহাম্মদ আমিনুল হক, মোহাম্মদ আবদুল আউয়াল, মো: ইসকান্দর আলী চৌধুরী, লায়ন মো: নুরুল আলম, লায়ন ইঞ্জিনিয়ার এ এম কামাল উদ্দিন চৌধুরী, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, লায়ন ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া, লায়ন ইঞ্জিনিয়ার মো: মুজিবুর রহমান, আলহাজ্ব আবু তৈয়ব, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক দিলীপ কান্তি দাশ, বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহেদ আহমদ, এডভোকেট মোহাম্মদ হুমায়ুন আকতার (মোশতাক), লায়ন সিরাজুল হক আনসারী, মোহাম্মদ আলম সিআইপি, লায়ন খায়েজ আহমদ ভুঁইয়া, লায়ন হাজী সফিক আহমদ, লায়ন ডা: সুকান্ত ভট্টাচার্য, লায়ন তাহের আহমদ।
ইমা