সিউলের ইতায়েওনে হ্যালোউইন উৎসবে ভিড়ের মধ্যে পদদলিত হয়ে ১৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিপর্যয়ের ধাক্কা সামলে না ওঠা পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ায় শোক ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক-ইয়ল।
শনিবার রাতে ওই দুর্ঘটনায় নিহতদের বেশিরভাগই কিশোর এবং অনুর্ধ ২০ বছর বয়সী তরুণ-তরুণী।
ইয়ুন নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন।
“এটা সত্যিই বেদনাদায়ক। এই ট্র্যাজেডি ও বিপর্যয়, গত রাতে সিউলের কেন্দ্রস্থলে যেটা হয়েছে, সেটা হওয়া উচিত ছিল না,” প্রেসিডেন্ট তার বিবৃতিতে এমনটাই বলেছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
শনিবার রাতে হ্যালোউইন উদযাপনের সময় বিপুল সংখ্যক মানুষ ইতায়েওনের একটি সরু গলিতে ঢুকে পড়লে পদদলনের এই ঘটনা ঘটে, বলছেন জরুরি বিভাগের কর্মকর্তারা। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলেও ধারণা দিয়েছেন তারা। মৃতদের মধ্যে ২০ জন অন্য দেশের নাগরিক বলে জানা গেছে।
আহত ৮২ জনের মধ্যে ১৯ জনের অবস্থা গুরুতর, ঘটনাস্থলে দেওয়া ব্রিফিংয়ে বলেছিলেন ইয়ংসান দমকল কেন্দ্রের প্রধান চই সুং-বিয়ম।
কোভিড বিধিনিষেধ ও সামাজিক দূরত্বের নির্দেশনা তুলে নেওয়ার পর, তিন বছর পর দক্ষিণ কোরিয়া প্রথমবারের মতো চার দেয়ালের বাইরে হ্যালোউইন উৎসবে মেতেছিল শনিবার।
এদিন বিভিন্ন পার্টিতে যাওয়া অনেকের মুখে মাস্ক এবং হ্যালোউইনের কস্টিউম দেখা গেছে।
রোববার প্রথম প্রহরের দিকেও ইতাওয়েনের সরু রাস্তায় রক্তের দাগের পাশাপাশি নানান কস্টিউম ও ব্যক্তিগত ব্যবহার্য জিনিসপত্র পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
কর্মকর্তারা জানান, বেশিরভাগই নিহত হয়েছে একটি নাইটক্লাবের কাছে। এদের অধিকাংশই ২০-এর ঘরের নারী: নিহতদের মধ্যে চীন, ইরান, উজবেকিস্তান, থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও নরওয়ের নাগরিকও রয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, শনিবার সন্ধ্যা থেকে রাত যত বাড়ছিল, রাতের আমোদ প্রমোদের জন্য বিখ্যাত ইতায়েওনে লোকও ততই বাড়ছিল। ১০টা ২০ মিনিটে পদদলনের ঘটনার আগেই এমন বিশৃঙ্খলা শুরু হয়ে যায় যে সেখানে থাকা পুলিশের পক্ষে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়।
ইউডি