মহামারি করোনাভাইরাস বা কভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের মূল কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে পরিচিত চীনের উহান শহর। প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেলে এক পর্যায়ে কঠোর বিধি নিষেধ ও লকডাউন ঘোষণা করে। এ শহর ফের লকডাউনে কবলে পড়েছেে।একই সাথে দেশটির আরো কয়েকটি শহরে ফের লকডাউন দেয়া হয়েছে।
দ্য গার্ডিয়ান এর প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, চীনের উহান শহরসহ বিস্তৃত এলাকায় কড়াকাড়ি বাড়ানো হয়েছে ও আংশিক লকডাউন দেয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মধ্য চীনের উহান থেকে উত্তর-পশ্চিমে জিনিং পর্যন্ত শহরগুলোতে কভিড সংক্রমণ বাড়ায় কড়াকড়ি দ্বিগুণ হয়েছে। প্রাদুর্ভাব কমাতে আবাসিক এলাকা প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। লকডাউন দেয়া হয়েছে অনেক এলাকায়। এ কারণে লাখ লাখ মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে।
টানা তৃতীয়দিনের মতো বৃহস্পতিবারও (২৭ অক্টোবর) চীনজুড়ে এক হাজারের বেশি কভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে। বছরের শুরুতে সাংহাইয়ে দিনে কয়েক হাজার রোগী শনাক্ত হওয়ায় পুরোপুরি লকডাউন দেয়া হয়েছিল। সে তুলনায় কম হলেও চীনের নীতি অনুসারে আরো নিষিধাজ্ঞা ও বিধিনিষেধ চালুর জন্য এ সংখ্যা যথেষ্ট।
অর্থনৈতিক দিক থেকে চীনের চতুর্থ বৃহৎ শহর ও গুয়াংডং প্রদেশের রাজধানী গুয়াংজু। সম্প্রতি শহরটির বিভিন্ন এলাকা ও সড়কে নতুন করে বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকির মুখে নতুন করে শহরটির বেশকয়েকটি এলাকায় লকডাউন দেওয়া হয়।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে কিংহায় প্রদেশের রাজধানী শিনিংয়ের বেশকিছু সবজি ও ফলের দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দোকান মালিকদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এ অবস্থায় শহরটিতে খাবারের স্বল্পতা দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মূল্যস্ফীতি দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়ভাবে সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় দেশটির বড় বড় শহর যেমন- ঝেংঝৌ, দাতং ও জিয়ানে নতুন করে কঠোর বিধিনেষেধ আরোপ করা হয়েছে।
চলতি সপ্তাহে শহরটিতে দৈনিক ২০-২৫টি নতুন সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে। গত ১৪ দিনের হিসেবে এ সংখ্যা ২৪০। এ প্রেক্ষিতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এক জেলায় আট লাখের বেশি বাসিন্দাকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়িতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে।
উল্লেখ্য, চীনের উহানে ২০১৯ সালের শেষের দিকে বিশ্বের প্রথম কভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা পরে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে।
ইমা