চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বালুর ড্রেজার ডুবে নিখোঁজ একই গ্রামের ৮ শ্রমিকের মধ্যে বৃহস্পতিবার(২৭ অক্টোবর) নিখোঁজ বাকি ৩ শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হযেছে।অপরদিকে আগে উদ্ধার হওয়া ৫ শ্রমিকের মধ্যে ৪ জনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। অপর একজনের মরদেহ এখনও পটুয়াখালীর নিজ গ্রামে এসে পৌঁছায়নি।
বৃহস্পতিবার(২৭অক্টোবর) সকাল ৭টায় সদর উপজেলার চর জৈনকাঠী মোল্লা বাড়ির সামনের মাঠে তাদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর পারিবারিক কবরস্থানে তাদের দাফন সম্পন্ন করা হয়।
যাদের জানাযা হয়েছে তারা হলেন-মাহামুদ মোল্লা, আলামীন, জাহিদ ফকির ও ইমাম মোল্লা।
এ ঘটনায় এলাকা জুড়ে চলছে শোকের মাতম। প্রতিটি নিহতের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে সহযোগিতার কথা জানিয়েছেন সদর উপজেলা প্রশাসন।
এদিকে ড্রেজার ডুবির ঘটনায় আট শ্রমিকের মধ্যে সর্বশেষ তিনজনের মরদেহ বৃহস্পতিবার উদ্ধার করা হয়েছে।সকাল ৯টায় তিন শ্রমিক শাহিন মোল্লাহ (৩৫), তারেক মোল্লাহ ( ২২) ও ১০টায় আবুল বশর হাওলাদার (৩৬) এর মরদেহ উদ্ধারের মধ্যদিয়ে উদ্ধার অভিযান সম্পন্ন করা হয়।
এর আগে বুধবার সকাল ১০টায় ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা ড্রেজারের গ্রীল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে ৩ শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করে। মঙ্গলবার রাতে স্থানীয়রা উদ্ধার করে এক শ্রমিকের মরদেহ।
চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স এর উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ হারুন পাশা বলেন, ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা টানা ৩দিন নিরলস পরিশ্রম করে ঝুঁকি মাথায় নিয়ে শ্রমিকেদের মরদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।
সোমবার রাত ১০টার দিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সাগরে জোয়ারের পানির উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে বালু উত্তোলনের ড্রেজারটি আট জন শ্রমিকসহ ডুবে যায়।
তারা হলেন-পটুয়াখালী সদর উপজেলার চর জৈনকাঠি গ্রামের মোল্লা বাড়ির আব্দুর রহমানের ছেলে মো. তারেক মোল্লা, আনিচ মোল্লার দুই ছেলে শাহীন মোল্লা ও ইমাম মোল্লা, আব্দুল হক মোল্লার ছেলে মাহমুদ মোল্লা, ইউসুফ হাওলাদারের ছেলে বসার হাওলাদার, নুরু সর্দারের ছেলে আলম সর্দার, সেকান্দার বারির ছেলে মো. জাহিদ বারি এবং রহমান ফকিরের ছেলে আল-আমিন ফকির।
বালু উত্তোলনের ড্রেজারটি (সৈকত-২) উপজেলার ১৬ নম্বর সাহেরখালি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ৩ নম্বর বসুন্ধরা এলাকায় বেড়িবাঁধ থেকে ১০০০ ফুট দূরত্বে সাগরের মাঝে রাখা ছিল। মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে প্রবল স্রোত ডিঙিয়ে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন।
ইমা