ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং থাকাকালীন চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম সমন্বয়ে চারটি কন্ট্রোল রুম চালু করেছে কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করে দায়িত্ব বন্টন করা হয়েছে।
সোমবার বন্দরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত জরুরি সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহানের বলেন , ঘূর্ণিঝড়কালীন বন্দরের কার্যক্রম সমন্বয়ে চারটি কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। ছুটি বাতিল হওয়ায় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নির্ধারিত দায়িত্ব পালন করে যাবেন। এ সময়ের ভেতর শুধুমাত্র যেসব প্রতিষ্ঠানের ডেলিভারি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে সেসব প্রতিষ্ঠানের পণ্য ডেলিভারি দেয়া হবে। পরিস্থিতি বিচারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, এরআগে বন্দর অ্যালার্ট-৩ জারি করা হয়েছে। সতর্কতার অংশ হিসেবে বন্দরের জেটি থেকে সকল কন্টেইনার ও কার্গো জাহাজ বহির্নোঙরে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে এবং কর্ণফুলী চ্যানেলে অবস্থানরত লাইটার জাহাজগুলো উজানে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এছাড়া বন্দরের সব কার্গো ও কন্টেইনার হ্যান্ডলিং যন্ত্রপাতির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, কন্টেইনার স্ট্যাকিংয়ের (এক কনটেইনারের উপর একাধিক কনটেইনার রাখা) উচ্চতা কমানো ও বন্দরের নিজস্ব নৌযানগুলো নিরাপদ স্থানে নোঙর করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের ক্ষয়ক্ষতি কমানো, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ দ্রুত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কন্ট্রোল রুম চালু করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। কনট্রোল রুমের নম্বর- পরিচালক পরিবহন (০২-৩৩৩৩১৯৭১১, পিএবিএক্স ৬০৭২), হারবার মাস্টার (০২-৩৩৩৩২৬৯১৬), পরিচালক নিরাপত্তা (০১৫৫০ ০০৫৩১১, ০১৫১৯ ১১৪৬৪৬) এবং সচিব (০২-৩৩৩৩৩০৮৬৯)। ঘূর্ণিঝড়ে বন্দর সংশ্লিষ্ট জরুরি প্রয়োজনে এসব নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে।
ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে চট্টগ্রামসহ সমুদ্র উপকূলে ঘণ্টায় ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে দমকা থেকে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে চট্টগ্রাম ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ইতিমধ্যে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় মেডিকেল টিম প্রস্তুত করেছে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়। চট্টগ্রামে সর্বমোট ২৯০টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত করা হয়েছে।