সকালের ম্যাচ প্রিভিউতে বাংলাদেশের জন্য আজকের ম্যাচে জয়ের গুরুত্ব,প্রয়োজনীয়তা ও জিতেই শুরু হবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ অভিযান,বেশ দৃঢ়তার সঙ্গে বলা হয়েছিলো দুই দলের ক্রিকেটীয় বিচার-বিশ্লেষণ করে বাস্তবতার নিরিখেই।টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ভালো সূচনার পরেও ব্যাটসম্যানদের দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিংয়ে ৭৬/৫ পরিনত হয় বাংলাদেশ।অথচ ৪৩ রানে প্রথম উইকেট হারিয়েছিলো বাংলাদেশ।শক্ত ভিতের উপর দাঁড়িয়ে যেখানে একটা বড়ো সংগ্রহ দাঁড় করবে বলে মনে হচ্ছিলো,পরের ৩৩ রান করতে গিয়ে উল্টো আরও চার ব্যাটার প্যাভিলিয়নের পথ ধরলে পুরনো আশংকা চেপে বসে সমর্থকদের মধ্যে।আউট হওয়া ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দুই ইনফর্ম ব্যাটসম্যান লিটন দাস ও সাকিব আল হাসান থাকায় শংকাটা রীতিমতো জেঁকে বসে।
কিন্তু আফিফ হোসেন ও মোসাদ্দেক দুটো অতীব গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে দলের মান রক্ষার সাথে লড়াই করার মতো পূঁজি পায় বাংলাদেশ।আফিফের ২৭ বলে ৩৮ ও মোসাদ্দেক হোসেনের ১২ বলে অপরাজিত ২০ রানে বিশ ওভারে আট উইকেটে ১৪৪ রান করে বাংলাদেশ।তাড়া করতে নেমে তাসকিন আহমেদের দুই উইকেটের সাথে দুটো রানআউটে নেদারল্যান্ডস ১৫/৪
পরিনত হয়।এরপর কলিন একারম্যান উইকেট রক্ষক এডওয়ার্ডসকে নিয়ে ৪৪ রানের জুটি গড়ে বিপর্যয় সামাল দেন।৫৯ রানে ডাচদের পঞ্চম উইকেট পতনের পর এক প্রান্তে ধারাবাহিক ভাবে উইকেট পড়লেও কলিন একারম্যান বিধ্বংসী হয়ে উঠছিলেন।তাঁকে আউট করতে না পারলে ম্যাচের ফল উল্টোও হতে পারতো।
তাসকিনের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে দলকে ১০১ রানে রেখে আউট হয়ে যান কলিন একারম্যান।৪৮ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে নামেন বোলিংয়ে ২১ রানে দুই উইকেট পাওয়া ভ্যান মিক্রান।১৪ বলে ২৪ রান করে পরাজয়ের ব্যবধানটি কমানো ছাড়া বাংলাদেশের জয় আটকানো সম্ভব হয়নি।বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন আহমেদ ২৫ রানে চার উইকেট নিলেও হাসান মাহমুদের স্পেলটিও দলের জয়ে বড়ো ভূমিকা রাখে।৪-১-১৫-২ হলো হাসান মাহমুদের বোলিং ফিগার।শুরু ও শেষে ডাচদের হার নিশ্চিত করা ২৫/৪ জন্য ম্যাচ সেরার পুরস্কার পান তাসকিন আহমেদ।বিশ ওভারে নয় উইকেটে ১৩৫ রান করে ৯ রানে পরাজিত হয় নেদারল্যান্ডস।
ইমা