পাকিস্তান-ভারত ম্যাচ সবসময়ই পৃথিবীব্যাপী উন্মাদনা সৃষ্টি করে থাকে।দুই দলের বহু ম্যাচ দাগ কেটে আছে ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে।কিন্তু টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আজকের ম্যাচটি দুই দলেরই নয়,বলা যায় ক্রিকেট ইতিহাসেরই অন্যতম সেরার স্বীকৃতির দাবীদার।যে ম্যাচে শেষ পর্যন্ত বিরাট কোহলীর বীরত্বে ৪ উইকেটে জিতে যায় ভারত।
এটি এমনই এক ম্যাচ ছিলো যাঁর আসল চিত্র শব্দ দিয়ে প্রকাশ করা সহজসাধ্য কাজ নয়।ম্যাচটি যাঁরা দেখেছেন তাঁরা নিজেদের ভাগ্যবান ভাবতই পারেন।অষ্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে আজ টসে জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠান রোহিত শর্মা।ব্যাট করতে নেমে দুঃস্বপ্নের মতো সূচনা পায় পাকিস্তান।
ইনিংসের প্রথম মুখোমুখি হওয়া বলেই বাবর আজম আউট হয়ে যান।দলীয় ১৫ রানে ইনফর্ম রিজওয়ানও আউট হয়ে গেলে বিপদে পড়ে পাকিস্তান।শান মাসুদ ও ইফতেখার আহমেদ বিপর্যয় সামলে ৭৬ রানের জুটি গড়ে তোলেন।৩৪ বলে ৫১ রান করে ইফতেখার আহমেদ আউট হয়ে গেলেও শান মাসুদ শেষ পর্যন্ত খেলে ৫২ রানের ইনিংসের মাধ্যমে বিশ ওভারে দলকে আট উইকেটে ১৫৯ রানের লড়াকু টোটাল এনে দেন দলকে।ভারতের পক্ষে আর্শদীপ সিং ও হার্দিক পান্ডিয়া ৩টি করে উইকেট নেন।
তাড়া করতে নেমে ভারতের সূচনা আরও দুঃস্বপ্নের মতো হয়।পাওয়ার প্লের পর ৬.১ ওভারে ৩১ রানে চার উইকেট হারিয়ে ভয়ানক চাপে পড়ে তাঁরা।
বিরাট কোহলি ও হার্দিক পান্ডিয়া মিলে ১১৩ রানের জুটি গড়ে ভারতকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন।শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৬ রানের সমীকরণ মেলাতে গিয়ে প্রথম বলেই নওয়াজের বলে পান্ডিয়া আউট হয়ে যান।দিনেশ কার্তিক নেমে সিঙ্গেলস নিয়ে কোহলিকে স্ট্রাইক দেন।৪ বলে ১৫ রান।তৃতীয় বল থেকে দুই রান নেন কোহলি। ৩ বলে ১৩ রান।চতুর্থ বলে ছক্কা হাঁকান কোহলি। ২ বলে ৭ রান।পঞ্চম বলটি নওয়াজ ওয়াইড করেন সাথে তিন রান বাই হিসেবে নেন দুই ব্যাটসম্যান।২ বলে ৩ রান।পঞ্চম বলে দিনেশ কার্তিক দুই রান নিতে গিয়ে রান আউট হয়ে যান।শেষ বলে ২ রানের লক্ষ্যপূরনের দায়িত্ব পড়ে অশ্বিনের উপর।
নওয়াজ আবারও ওয়াইড করেন।শেষ বলে সিঙ্গেলস নিয়ে অবিশ্বাস্য জয় এনে দেন ভারতকে।
বিরাট কোহলি ৫৩ বলে ৮২ রানে অপরাজিত থাকেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ- পাকিস্তান ১৫৯/৮(২০), মাসুদ ৫২*,ইফতেখার আহমেদ ৫১।পান্ডিয়া ৩/৩০,আর্শদীপ সিং ৩/৩২।
ভারতঃ-১৬০/৬(২০),কোহলি ৮২*,পান্ডিয়া ৪০।
ম্যান অফ দ্য ম্যাচঃ-বিরাট কোহলি।
ইমা