ফেসবুকে প্রবেশ করলেই দেখা যায় বিভিন্ন পণ্য বিক্রির লাইভ অর্থাৎ সরাসরি ভিডিও। যার মাধ্যমে ক্রেতা-বিক্রেতা লাইভে একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। কিন্তু লাইভে আর পন্য বিক্রির সুবিধা রাখছে না ফেসবুক। চলতি বছরের অক্টোবর থেকে লাইভে পণ্য বিক্রি বন্ধ করছে ফেসবুক।
সম্প্রতি এক ব্লগ পোস্টে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে মেটা। মূলত ইনস্টাগ্রাম রিলসে মনযোগ দিতেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
মেটা জানায়, ফেসবুক লাইভ ও ইভেন্টগুলোতে লাইভ ভিডিও সম্প্রচার করা যাবে, কিন্তু লাইভ ভিডিওর প্লেলিস্টে কোনো পণ্যের ট্যাগ দেয়া যাবে না। পণ্যের শোকেসিংটা ‘রিল’-এর মাধ্যমে করতে অনুরোধে করেছে মেটা। রিল অ্যাড এবং ইনস্টাগ্রাম রিলের মাধ্যমে প্রোডাক্ট ট্যাগিং করতে বলেছে।
মেটা জানিয়েছে, সম্প্রতি লাইভ ভিডিওগুলো অনেকটা দৈর্ঘ্য ফর্মের দিকে এগোচ্ছে। কিন্তু এখন আর কেউ বড় বড় লাইভ দেখতে চায় না। এজন্য মেটা ইনস্টাগ্রামের রিলসের দিকে বিশদভাবে নজর দিতে চাচ্ছে। রিলসের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি, প্রচার ও ট্যাগ দেয়া যাবে।
এতদিন এ লাইভ শপিং ইভেন্ট ফিচারটি ব্যবহার করে ফেসবুক ব্যবসায়ীরা ফলোয়ারদের জন্য পণ্যের ভিডিও তৈরি করত। যা ছিল অনেকটাই পারসোনাল হোম শপিং নেটওয়ার্ক। এখানে একজন ব্যবসসায়ী তার ফলোয়ারদের লাইভ শপিং সেশনের নোটিফিকেশন দিতে পারত এবং মেসেঞ্জারের মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে পারত।
সম্প্রতি টিকটকের এ স্ট্যাটাস পুরো সোশ্যাল মিডিয়ার জগতে রাজত্ব করছে। তাদের কিছু কৌশলগত অগ্রগতির কারণে তারা তরুণ সম্প্রদায়কে বেশ আকৃষ্ট করেছে। এ কারণে মেটা তার রাজস্বও হারিয়েছে।
ফলে জাকারবার্গ ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামে রিলকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। কেননা এটাকে তারা তাদের ক্ষতি থেকে উঠে আসার একটি হাতিয়ার হিসাবে মনে করছেন।
প্রসঙ্গত, ফেসবুক লাইভ শপিং ফিচারটি চালু হয় দু’বছর আগে। এ ফিচারের মাধ্যমে ক্রেতা-বিক্রেতা লাইভে একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারত। এছাড়াও সম্ভাব্য ক্রেতা আকৃষ্টের অনেক বড় একটি প্ল্যাটফর্ম ছিল এ ফিচারটি।