পাকিস্তানী ব্যাটার ইফতেখার আহমেদের মারমুখী হাফ-সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের নবম আসরের নবম ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ২০২ রান করেছে সাকিব-মাহমুদুল্লাহর ফরচুন বরিশাল। ২৬ বলে অপরাজিত ৫৭ রান করেন ইফতেখার।
বিপিবল চট্টগ্রামের পর্বের প্রথম ম্যাচে আজ স্থানীয় জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্বান্ত নেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের অধিনায়ক শুভাগত হোম।
ব্যাটিংয়ে প্রমোশন পেয়ে এনামুল হক বিজয়ের সাথে বরিশালের ইনিংস শুরু করেন মেহেদি হাসান মিরাজ। চট্টগ্রামের পেসার আবু জায়েদের করা প্রথম ওভারেই ৩টি চার মারেন মিরাজ। ওভারে ১৫ রান পায় বরিশাল।
স্পিনার তাইজুলের করা তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে ডিপ মিড উইকেট দিয়ে ছক্কা মারলেও, শেষ ডেলিভারিতে ম্লগ সুইপ করে জিয়াউর রহমানকে ক্যাচ দিয়ে আউট হন মিরাজ। তবে তার আগে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ১২ বল খেলে ২৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
দলীয় ৩৩ রানে মিরাজের বিদায়ে ক্রিজে আসেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। চট্টগ্রামের বাঁ-হাতি পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরির মুখোমুখি হয়ে প্রথম দুই বলেই দু’টি চার মারেন সাকিব। পরের ডেলিভারিতেই সাকিবের স্টাম্প উপড়ে ফেলেন মৃত্যুঞ্জয়। মৃত্যু ঘটে সাকিবের ৩ বলে ৮ রানের ইনিংসের।
বড় ইনিংস খেলার ইঙ্গিত দিয়ে ব্যক্তিগত ৩০ রানে আউট হন বিজয়। শ্রীলংকার স্পিনার বিজয়কান্ত বিয়াস্কান্তর বলে আউট হবার আগে ২১ বলে ৫টি চার মারেন তিনি।
অষ্টম ওভারে দলীয় ৭১ রানে বিজয়ের আউটের পর বরিশালের রানের চাকা ঘুড়িয়েছেন আফগানিস্তানের ইব্রাহিম জাদরান ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। দু’জনই মারমুখী ব্যাটিং করে ১১তম ওভারেই বরিশালের স্কোর রানে ১শ পৌঁছে দেন।
১৩তম ওভারে ২৫ রান করা মাহমুদুল্লাহকে শিকার করে চট্টগ্রামকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন জিয়াউর রহমান। ১৭ বলে ২টি করে চার-ছক্কা মারা মাহমুদুল্লাহ চতুর্থ উইকেটে জাদরানের সাথে ৩১ বলে ৪৯ রান যোগ করেন।
হাফ-সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়ে আবু জায়েদের প্রথম শিকার হয়ে ৪৮ রানে থামেন জাদরান। ৩৩ বল খেলে ৪টি চার ও ৩টি ছয় মারেন তিনি।
১৯তম ওভারের প্রথম দুই বলে উইকেট নিয়ে হ্যাট্টিকের সম্ভাবনা জাগান আবু জায়েদ। শেষ পর্যন্ত হ্যাট্টিক করতে পারেননি তিনি। তবে ঐ ওভারের শেষ তিন বলে ছক্কা মারেন বরিশালের পাকিস্তানী ব্যাটার ইফতেখার আহমেদ।
ইনিংসের সব শেষ ওভারেও ২টি চার ও ১টি ছক্কা হাকিয়ে ২৫ বলে টি-টোয়েন্টিতে ২৩তম হাফ-সেঞ্চুরি পুর্ন করেন ইফতেখার। শেষ পর্যন্ত ২৬ বলে ৩টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৫৭ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ২০২ রানের সংগ্রহ পায় বরিশাল। চট্টগ্রামের আবু জায়েদ ৪৯ রানে ৩ উইকেট নেন।