পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে লেখা আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ স্বাক্ষরিত একটি চিঠি ব্রাজিলে নিযুক্ত আমাদের রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুন্নেসার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ওই ই-মেইলটি আজ হাতে পেয়েছি। আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্চে বাংলাদেশে আসবেন। তখন দূতাবাস খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। এটা ভালো সংবাদ। আর্জেন্টিনার দূতাবাস খোলার মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।
তিনি বলেন, বিষয়টি জানার পর আমাদের রাষ্ট্রদূতকে বলেছি, আপনি দেখবেন, সঙ্গে করে মেসি এবং তার দলকে নিয়ে আসা যায় কি না। আমরা তাদের আতিথেয়তা দেবো। দেখা যাক আসে কি না।
গত ২০ ডিসেম্বর এ বছর ফিফা বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশের জনগণকে ব্যক্তিগতভাবে ধন্যবাদ জানান আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট।
পুরো বিশ্বকাপজুড়ে আলবিসেলেস্তেদের জন্য বাংলাদেশিদের আন্তরিক সমর্থন এবং ফাইনালে তাদের জয়ের পর দেশজুড়ে ব্যাপক উদযাপন দেখে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট ও জনগণ অভিভূত হয়েছে।
ব্রাজিলে বাংলাদেশ মিশন জানায়, চিঠিতে খেলাধুলা মানুষের মধ্যে বন্ধন ও সম্প্রীতি গড়ে তোলার একটি অর্থবহ ও শক্তিশালী মাধ্যম বলে উল্লেখ করেছনে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট।
ঢাকায় দূতাবাস খোলার মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণের পাশাপাশি দক্ষিণ আমেরিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম সয়াবিন উৎপাদনকারী দেশটি থেকে সয়াবিন তেল আমদানির ক্ষেত্রে সুবিধা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর আগে চলতি বছরের আগস্টে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাফিয়েরোর সঙ্গে ড. এ কে আব্দুল মোমেন সাক্ষাত করেন। বৈঠকে উভয় কূটনীতিক সম্মত হন যে, দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে আর্জেন্টিনার দূতাবাস চালু ছিল। কিন্তু বাংলাদেশের সঙ্গে তেমন ব্যবসা-বাণিজ্য না থাকায় ১৯৭৮ সালে দূতাবাস বন্ধ করে দেয় আর্জেন্টিনা।