চট্টগ্রাম পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী, শিবির ক্যাডার সাজ্জাদের সহযোগী মো. নুরনবী ওরফে ম্যাক্সন ভারতে মারা গেছেন। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দিবাগত রাত ১২.০৬ মিনিটে দক্ষিণ কলকাতার হরিদেবপুর থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ কলকাতার হরিদেবপুর এলাকায় তার সঙ্গিনী অর্পিতা হাজরার সঙ্গে থাকতেন ম্যাক্সন ওরফে তমাল চৌধুরী। তবে তারা বিবাহিত নন। হাসপাতালে মৃতদেহ আনার সময় অর্পিতা সঙ্গে ছিলেন। তবে হাসপাতালে রেখে তিনি নিরুদ্দেশ হন। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে।
অর্পিতার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, অর্পিতা রাতে বাসায় ফিরে সদর দরজা বন্ধ থাকায় দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকি করেন। দরজা না খোলায় তিনি প্রতিবেশীর সাহায্যে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ম্যাক্সনের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ মৃতদেহ নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
এর আগে গত ফ্রেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ম্যাক্সনকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর চব্বিশ পরগণার বারানগর থানার ডানলপ এলাকা থেকে দেশটির পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছিল। তমাল চৌধুরী ছদ্মনামে তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই ওই এলাকায় বসবাস করছেন। নিজেকে পরিচয় দিতেন মাছ ব্যবসায়ী হিসেবে। দালাল ধরে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে পরিচয়পত্র এবং পাসপোর্ট জোগাড় করেছেন। গ্রেপ্তারের সময় তার সঙ্গে ভারতীয় একজন নারীও ছিলেন।
ম্যাক্সন চট্টগ্রামের বায়েজিদ থানাধীন জাহানপুর আলতাফ মিয়া বাড়ির আবদুল লতিফের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ৫টি অস্ত্র মামলা ও ১৭টি চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে।
বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস জাহান বলেন, তার পরিবার আমাদের মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়েছে। আমরা কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাব। এরপর কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ করলে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।