রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী বলেছেন, মুখের কথা নয়, চট্টগ্রামে স্মরণকালের জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপির সমাবেশে ভাড়া করে মানুষ নিয়ে আসার বিষয়টি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, আমরা কাউকে ভাড়া করে নিয়ে আসবো না। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনা শোনার জন্য মানুষ নিজ উদ্যোগে ছুটে আসবে।
এতো মানুষকে জায়গা দিতে পারবো কিনা, এটি নিয়ে আমাদের কাজ করতে হচ্ছে। মঙ্গলবার (১৫ নভম্বের) দুপুরে নগরীর রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সদর দপ্তরের প্রস্তুতি সভা শেষে পলোগ্রাউন্ড মাঠ পরিদর্শনকালে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী বলেন, পলোগ্রাউন্ড মাঠটি রেলওয়ের। সেখানে এত বড় জনসভা হবে। স্বাভাবিকভাবেই রেল কর্তৃপক্ষের অনেক দায়িত্ব। তাই রেলওয়ের পক্ষ থেকে যা যা করা দরকার সবই করা হবে। এর আগে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের (সিআরবি) জিএমের দফতরে প্রস্তুতি সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, পলোগ্রাউন্ডে ৭ ফুট উঁচু মঞ্চ তৈরি করা হবে। এর দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ হবে যথাক্রমে ১২০ ও ১৪০ ফুট। ২০০ অতিথি মঞ্চে বসতে পারবেন। প্রস্তুতি সভায় অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, রেলওয়ের জিএম জাহাঙ্গীর হোসন, পিডিবি, পিডব্লিউডি, ওয়াসা, ফায়ার সার্ভিস, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলসহ বিভিন্ন দফতরের প্রতিনিধিবৃন্দ।
এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী বলেন, মানুষ যদি চোখে দেখে, অন্ধ না হয়ে যায় তাহলে জননেত্রী শেখ হাসিনার কাজ দেখে আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে। এখানে (সমাবেশ) ছাড়াও পলোগ্রাউন্ড মাঠের সৌন্দর্যের জন্য বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। সমাবেশে মানুষ কোন পথে আসবে, কোন পথ দিয়ে বের হয়ে যাবে।
গণশৌচারগার কোথায় হবে, কয়টি আর্চওয়ে হবে এসব নিয়ে কাজ চলছে। ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়ে গেছে। আগামী ৪ ডিসেম্বর নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন। সমাবেশকে সামনে রেখে দলটির
নেতাকর্মীরা দিন রাত ব্যস্ত সময় পার করছেন। এর মধ্যে সমাবেশ স্থলের মাঠ পরিদর্শন করেছেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। মাঠে চার লাখ নেতা-কর্মীসহ মাঠের বাইরে এক বর্গকিলোমিটারে ১০ লাখ মানুষের সমাগম হবে বলে আশা নেতৃবৃন্দের।