কাতারের সমালোচনা না করে ফুটবল বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোকে খেলায় মনোযোগ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে ফিফা।
কাতার বিশ্বকাপের মাধ্যমে এশিয়াতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মহাদেশের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ ফুটবল। আর মাত্র ১৪ দিনের কাউন্টডাউন শেষে শুরু হবে বিশ্ব ক্রীড়া জগতের সবচেয়ে হার্টথ্রুব এই আসর।
তবে কাতার-২০২২ বিশ্বকাপ আসরের আয়োজক হওয়ায় শুরু থেকেই বিস্তর সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। সমালোচনা এখনো চলছে। ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা অংশগ্রহণকারী ৩২ দেশকে কাতারের সমালোচনা না করে খেলায় মনোযোগ দিতে নির্দেশ দিয়েছে সংস্থাটি।
বিশেষ করে পশ্চিমা দেশগুলোর রোষানলে ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজকরা। প্যারিসসহ ফ্রান্সের একাধিক শহর, জার্মানির পাবগুলো ইতোমধ্যেই বর্জন করেছে এবারের বিশ্বকাপ। প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছে অস্ট্রেলিয়ার ফুটবলাররা, নীরব প্রতিবাদ ডেনমার্কের। শুধু তাই নয় সমকামীদের সহমর্মীতায় হ্যারি কেইনসহ ইউরোপের ৯ অধিনায়কের রঙিন আর্মব্যান্ড পড়ার সিদ্ধান্তও অবাক করেছে ফিফাকে। বিভিন্ন সময়ে কাতার প্রতিবাদ করেছে। ফিফাকে পাশে পেলেও অনেকটা নীরব ছিলো বিশ্ব ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা। কিন্তু এবার আনুষ্ঠানিকভাবে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোকে চিঠি দিয়ে সতর্ক করেছে ফিফা।
কাতার বিশ্বকাপের প্রধান নাসের আল খাতের বলেন, ফুটবল বিশ্বকাপ কোন রাজনৈতিক মতাদর্শ প্রদর্শনের মঞ্চ নয়। এটা এমন এক আয়োজন যেখানে মানুষ খেলা উপভোগ করতে আসে। এখানে রাজনৈতিক রং দেয়া ভালো কিছু মনে করি না।
বিদেশি শ্রমিকদের জন্য তহবিল গঠনের আবেদন নিয়ে সরব বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা। বিষয়টি গড়িয়েছে ফিফা পর্যন্ত। তবে ইউরোপিয়ানদের বাড়াবাড়ি পছন্দ হচ্ছে না কাতারের।
কাতার বিশ্বকাপের প্রধান বলেন, শ্রমিক অধিকার নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলে। অথচ এ ব্যাপার নিয়ে তাদের কোন জ্ঞান নেই। আমার মনে হয়, এ ব্যাপারে তাদের আরও পড়াশোনা করা উচিত। জানা উচিত, কাতারে আসলে কি হচ্ছে।
ইউডি