বাংলাদেশকে হেসে খেলে হারিয়ে সেমিফাইনালের টিকিট নিয়ে নিল পাকিস্তান। এই জয়ের মধ্য দিয়ে সর্বশেষ দল হিসেবেই তারা চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছে।
বাংলাদেশের দেওয়া ১২৮ রানের সহজ টার্গেটে পৌঁছতে পাকিস্তানকে তেমন কোন চাপে পড়তে হয়নি। ১১ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটের জয় নিয়ে ড্রেসিং রুমে ফিরেছে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ের প্রথম ওভারেই ক্যাচ আউট হতে পারতো মোহাম্মদ রিজওয়ান। কিন্তু কিপার নুরুল হাসান সোহানের ব্যর্থতায় বেঁচে যান তিনি। ফলে ভাল বল করেও উইকেট শূন্য থাকতে হয়েছে তাসকিন আহমেদকে।
প্রথম ১০ ওভার দেখে-শুনে খেলে পাকিস্তান বিনা উইকেটে ৫৬ রান তুলে। রিজওয়ান ২৮ বলে ৩১, বাবর আজম ৩২ বলে ২৫! মজবুত একটা ভিত্তি পেয়ে যায় তারা। তবে এরপরই বাবর আজমকে (৩৩ বলে ২৫) ফেরান নাসুম আহমেদ। তারপর প্রাণ পাওয়া রিজওয়ানকে ফেরান ইবাদত। তার আগেই তিনি ৩২ বলে ৩২ রান করেন। বড্ড দেরি হয়ে গেল, ততক্ষণে ম্যাচটাও হাতছাড়া হয়ে গেছে।
তারপর মোহাম্মদ নওয়াজকে দ্রুতই আউট হন। ১১ বলে ৪ করে লিটন দাসের সরাসরি থ্রো-তে রানআউট। তারপর বাকি কাজটুকু সারেন শান মাসুদ ও মোহাম্মদ হারিস। হারিস অবশ্য শেষ দিকে এসে বিদায় নেন, এরপর ইফতিখার আহমেদও। তবে বাকি কাজটা অনায়াসেই পেরিয়ে যায় পাকিস্তান।
বাংলাদেশের হয়ে সাকিব আল হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান, নাসুম আহমেদ ও এবাদত হোসেন একটি করে উইকেট পেয়েছেন। কেবল প্রথম ওভারে ক্যাচমিস হওয়া তাসকিন কোন উইকেট পাননি।
সকাল গড়াতেই অ্যাডিলেড ওভালে সুখবরটা এনে দিয়েছিল নেদারল্যান্ডস। দক্ষিণ আফ্রিকার মতো বড় দলকে হারিয়ে যে অঘটনের জন্ম দিয়েছে তাতে লাভবান হতে পারত বাংলাদেশ দল। এরপর সমীকরণটা এমন দাঁড়ায়- পাকিস্তানের বিপক্ষে জিতলেই প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শেষ চারে যাবে বাংলাদেশ। যদি-কিন্তুর সব হিসাব এক বিন্দুতে-শুধু জয়। ঠিক তখন নিজের হাতেই সেই সম্ভাবনাকে গলা টিপে মারলেন সাকিব আল হাসানরা!
এই ম্যাচ জয়ে সেমিফাইনালে পাকিস্তান মুখোমুখি হবে নিউজিল্যান্ডের। অন্যদিকে এই গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ভারত নামবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
ইউডি