সন্দ্বীপে বেড়াতে গেছেন, অথচ বিশ্বখ্যাত সন্দ্বীপের বিখ্যাত জিনিসটা খাবেন না তা কিভাবে হয় ! খাটি গরুর দুধের সর দিয়ে তুলতুলে নরম, দুধের রসে চপচপ করা ধবধপব সাদা মিষ্টি খেতে কার না মনে চাইবে ? ব্রিটিশ আমলে বিনয় বাবুর বাবা সত্যকান্ত সাহার হাত ধরে চট্টগ্রামের বিছিন্ন দ্বীপ সন্দ্বীপের বিনয় মিষ্টি মুখ’ এর যাত্রা। বাবার কাছ থেকে শিখেছিলেন মিষ্টি বানানোর কৌশল। তখন বাবার সাথে সন্দ্বীপে হারিয়ে যাওয়া ন্যায়ামন্তি ইউনিয়নে দোকান করতেন। নদীগর্ভে বিলীন হয়ে ১৯৬০ সালে দোকানটি শিবের হাটে নিয়ে আসেন। শুরুতে নিজেই ছিলেন এ মিষ্টির কারিগর।
অল্প সময়ে তার মিষ্টির সুনাম ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে। এখনো সুনামের সাথে এ মিষ্টির ব্যবসা টিকে আছে। কেননা তার ৪ সন্তান পরিতোষ সাহা, প্রাণোতোষ সাহা, প্রিয়তোষ সাহা ও সন্তোষ সাহাকেও তিনি শিখিয়েছেন এ মিষ্টি বানানোর কৌশল। লোকে বলে ‘বিনাশার মিষ্টি’। দক্ষিণ সন্দ্বীপের প্রাণকেন্দ্র শিবের হাটে বিনয় বাবুর বিখ্যাত সেই মিষ্টি দোকানের অবস্থান। এ মিষ্টির জনপ্রিয়তা জেলা ছাড়িয়ে চলে গেছে বিদেশেও। স্থানীয়দের কাছে তার মিষ্টি যেন লোভনীয় এক নাম। এ মিষ্টি প্রবেশ করেছে নাকি প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনেও।
শুক্রবার সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদকের কথা হয় বিনয় কৃষ্ণ সাহার সঙ্গে। বললেন, বাবার কাছ থেকেই মিষ্টি তৈরি শিখেছিলাম ছোটবেলায়। আমাদের এ মিষ্টি খুবি সুস্বাধু। দেশ ছাড়িয়ে বিভিন্ন দেশেও যায় মিষ্টি। এমন কি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও খেয়েছেন এ মিষ্টি। সন্দ্বীপের হাজার বছরের ঐতিহ্যের সাথে মিছে আছে এই মিষ্টি। বিভিন্ন আকারের মিষ্টি তৈরি হয় এখানে। একটু বড় মিষ্টি ২০ টাকা, মাঝারি ১৫ টাকা এবং ছোট ৬ টাকা প্রতি পিস। প্রতিদিন গড়ে ২ হাজার মিষ্টি বিক্রি হয়। প্রতিদিনের তৈরি করা মিষ্টি প্রতিদিনই বিক্রি হয়ে যায়। তাই মিষ্টি বাসি হওয়ার সুযোগ থাকে না। তবে বেশি মিষ্টি নিতে হলে আগেই অর্ডার দিয়ে রাখতে হয়।
ইমা