গত মাস তথা সেপ্টেম্বরের ছয় তারিখে অপহৃত হয়ে ঠিক একমাস পর সুযোগের সৃষ্টি হয়।আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েই বাসায় ফিরে আসে চৌদ্দ বছর বয়সী অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক কিশোরী।নিজের পরিবারকে জানায়,গত একমাস ধরে গা শিউরে ওঠা পৈশাচিকতার শিকার হতে হয়েছে তাঁকে।অমানবিক এই ঘটনা ঘটেছে নারায়ণগঞ্জে আড়াইহাজার উপজেলার বাজবি গ্রামের বাসিন্দা মাসুদের একমাত্র মেয়ের সাথে।মেয়েটিকে ঐ একমাস ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় রেখে কোনদিন তিনজন,কোনদিন চারজন তাঁর উপর পাশবিকতা চালায় বলে জানিয়েছেন আড়াইহাজার থানা পুলিশ।
গত ৬ই অক্টোবর সুযোগ পেয়ে পালিয়ে এসে এসব জানাবার পরপরই ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মামা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।মামলার এজাহারে বাদী জানান,ধর্ষণের শিকার কিশোরী দুপ্তারা সেন্ট্রাল করোনেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী।স্কুলে যাতায়াতের সময় মাজহারুল ইসলাম সজিব (২০)নামে এক যুবক তাঁকে উত্যক্ত ও প্রেম নিবেদন করতো গত কয়েক মাস ধরে।কিন্তু মেয়েটি সবসময় তা প্রত্যাখান করে এসেছে।
প্রতিদিনের মতো গত ৬ই সেপ্টেম্বর দুপুর ২টার দিকে ঐ ছাত্রী বাসায় ফেরার পথে আগে থেকে রাস্তায় সিএনজি নিয়ে থাকা সজীব তাঁকে জোরপূর্বক সিএনজিতে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়।তারপর থেকে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে কিশোরীকে আটকে রেখে মাসব্যাপী তাঁকে ধর্ষন ও পাশবিকতা চালায় সজীব সহ কয়েকজন।
অবশেষে গত ৬ তারিখ কৌশলে সে পালিয়ে বাসায় ফিরে সব জানায়।পরে কিশোরীর মামা বাদী হয়ে মাজহারুল ইসলাম সজীবের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরও তিন চার জনকে আসামী করে আড়াইহাজার থানায় মামলা দায়ের করেন।মামলা দায়েরের পর পুলিশ বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আসামীদের ধরতে অভিযানে নামে।গতকাল ৭ই অক্টোবর শুক্রবার নরসিংদি মাধবদীর চৌদ্দপাইক গ্রাম থেকে মামলার প্রধান আসামী ঐ গ্রামেরই গোলজার হোসেনের ছেলে সজীবকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ বিষয়ে আড়াইহাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিজুল হক হাওলাদার জানান, মামলা গ্রহনের সাথে সাথেই প্রধান আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।আরও কয়েকজন সহযোগী আসামী রয়েছে। তাদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
ইমা