ঘটনার ১৫ দিন পর মুন্সীগঞ্জে শাওন হত্যা মামলার আবেদন নিয়ে আদালতে বিএনপি, ১০ তারিখ শুনানি রাসেল

  আদিত্য,মুন্সীগঞ্জ থেকে ফিরে |  শুক্রবার, অক্টোবর ৭, ২০২২ |  ৮:৩৩ পূর্বাহ্ণ
       
 গত ২১শে সেপ্টেম্বর মুন্সীরগঞ্জের মোক্তারপুরে বিএনপি -পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত শহিদুল ইসলাম শাওন হত্যার দায়ে মামলার আবেদন নিয়ে আদালতে গিয়েছে বিএনপি গতকাল ৬ই অক্টোবর বৃহস্পতিবার।
ঘটনার ১৫ দিন পর কেন্দ্রীয় কৃষক দলের নির্বাহী সদস্য ও বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের মামলা ও তথ্য সংক্রান্ত কর্মকর্তা মোঃ সালাহউদ্দিন খাঁন বাদী হয়ে সদর আমলি আদালতে অভিযোগ দাখিল করেন।জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় সদস্য এডভোকেট মাহবুবুর রহমান আল মামুনের মাধ্যমে গতকাল সকাল এগারোটায় আবেদনটি জমা দেন।মামলার অভিযোগপত্রে বাদী নয় পুলিশ কর্মকর্তার নামোল্লেখ সহ আওয়ামী লীগের সাড়ে তিনশত অজ্ঞাত নেতাকর্মীকে আসামী করেছেন।
সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোসাঃ রহিমা আক্তার আবেদন গ্রহন করে আগামী ১০ই অক্টোবর শুনানির দিন ধার্য্য করেন। নাম উল্লেখ করা নয় পুলিশ কর্মকর্তা হলেন,মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মিনহাজ উল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অর্থ) সুমন দেব,সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিকুজ্জামান,উপ-পরিদর্শক মোঃ ফরিদউদ্দিন,মোঃ আরিফুর রহমান, সুকান্ত বাউল,সহকারী উপ-পরিদর্শক নকুল চন্দ্র ধর,অজিত চন্দ্র ও মন্টু বিশ্বাস। সেদিনের ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরে বাদী পুলিশ সুপার মিনহাজ উল ইসলামের অতি উৎসাহী ও মারমুখী ভূমিকা,এক পর্যায়ে নেতাকর্মীদের উপর হামলার আদেশ দেয়াকে ঘটনার সূত্রপাতের কারণ বলে উল্লেখ করেন।
পুলিশের সাথে সেদিন যোগ হয়েছিলো আওয়ামীলীগের দুইশ থেকে সাড়ে তিনশত সসস্ত্র নেতাকর্মী।তাঁদের সম্মিলিত আক্রমণে যুবদল নেতা শহিদুল ইসলাম শাওন ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে উদ্যত হলে পুলিশ তাঁর কপালের ডান পাশে গুলি করে।পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাওন মারা যান, যা হাসপাতালের দেওয়া মৃত্যুর কারনে উল্লেখ আছে বলে অভিযোগপত্রে বলা হয় ।মামলা করতে পনেরো দিন লাগলো কেন জানতে চাইলে বাদী গণমাধ্যমকে জানান,শাওনের পরিবারের সদস্যরা ভীত ও আতংকিত হয়ে আছেন।পরবর্তী সময়ে তাঁরা মামলার সাথে যুক্ত হবেন বলে জানান তিনি।
মামলার আবেদন করার খবর শুনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব বিএনপির মামলাকে বানোয়াট ও সাজানো উল্লেখ করে বলেন,সেই ঘটনায় সদর থানায় জিডি করা হয়। জিডির প্রতিবেদন ইতিমধ্যে আদালতে দাখিল করা হয়েছে,আর তদন্ত চলমান।তিনি এই মামলাকে মানুষের সহানুভূতি আদায়ে বিএনপির কৌশল বলে মন্তব্য করেন।
ইমা