চোখ ওঠা রোগও হতে পারে কোভিডের লক্ষণ

 নিজস্ব প্রতিবেদক |  বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২ |  ৮:০২ অপরাহ্ণ
       

বেশ কিছুদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে ‘চোখ ওঠা’ রোগ। সব বয়সের মানুষই এই চোখ ওঠা কনজাংকটিভাইটিস বা চোখের প্রদাহজনিত সংক্রামক এ রোগটিতে আক্রান্ত হচ্ছে সব বয়সী মানুষ। এই রোগের লক্ষণ হিসেবে রোগীদের মধ্যে চোখ লাল হওয়া, ব্যথা, ফুলে যাওয়া ও পানি আসার সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তবে এ নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

আবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, করোনাভাইরাসের সাধারণ উপসর্গগুলো হলো- জ্বর, সর্দি, ক্লান্তি, স্বাদ বা গন্ধ হারানো। শ্বাসকষ্ট, চলাফেরার ইচ্ছা হারানো বা বিভ্রান্তি, বুক ব্যথা। এছাড়াও কোভিডের পরোক্ষ কিছু উপসর্গ দেখা দিয়ে থাকে। সেগুলো হলো- চোখ লাল হওয়া বা চোখ জ্বলা, ত্বকে ফুসকুড়ি বা আঙুল বা পায়ের পাতার বিবর্ণতা, ডায়রিয়া, শরীর ব্যথা ও যন্ত্রণা।

আমেরিকার অপথালমোলজিক্যাল সোসাইটি বলছে, কারও চোখ লাল হলেই সেখান থেকে নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করার জন্য। সংস্থাটি বলছে যে, এটি কোভিড কনজাংকটিভাইটিস। রোগটি করোনা সংক্রমণের সঙ্গে সম্পৃক্ত। যা শ্বাসনালীর সঙ্গে যুক্ত হয়ে করোনার নতুন ঢেউয়ের সৃষ্টি করতে পারে।
তবে এই ব্যাপারে চক্ষু বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. মনিরুজ্জামান বলেন, চোখ ওঠা রোগ একটি ভিন্ন ভাইরাসের কারণে সংক্রমিত হচ্ছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের সঙ্গে চোখ ওঠার এখন পর্যন্ত কোনো সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায়নি। চোখ ওঠা মূলত একটি কনজাংকটিভাইটিস। কোভিডের সঙ্গে সরাসরি কোনো সম্পর্ক নেই। আমাদের দেশে কোভিড টেস্টের পরীক্ষায় নাক ও গলা থেকে স্যাম্পল নিয়ে করা হয়। তাছাড়া চোখ থেকে কোভিড সংক্রমণের তেমন কোন প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি।

তিনি আরো বলেন, চোখ উঠলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। যদি কর্নিয়ায় সংক্রমণ না ছড়ায় তাহলে নিজে থেকেই ঠিক হয়ে যাবে। যদি চোখ ওঠার পর কেউ ঝাপসা দেখেন, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
স্লোগান