শেষ ওভারে আমিরাতের জয়ের জন্য দরকার ছিল ১১ রান,হাতে দুই উইকেট।ষ্ট্রাইকে আবার ভয়ংকর হয়ে ওঠা
আয়ান আফজাল খাঁন।ইতিমধ্যে তিনটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ২৪ রান করে স্বাগতিকদের জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন।টি টোয়েন্টিতে শেষ ওভারে ১১ রানের সমীকরণ মেলানো খুবই সম্ভব।বল হাতে শরীফুল এলেন।প্রথম বল থেকে সিঙ্গেল,পরের বলে সিঙ্গেলস নিয়ে আবার ষ্ট্রাইকে আয়ান খাঁন।শরিফুলের শর্ট বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে আউট আয়ান আফজাল।পরের বলে শরিফুল শেষ উইকেটও তুলে নিয়ে দলকে ৭ রানে জিতিয়ে বড় লজ্জার হাত থেকে বাঁচান বাংলাদেশকে।
এর আগে টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠান আরব আমিরাতের অধিনায়ক।দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে চেজ করে জয়ের ইতিহাস বেশি বলেই হয়তো তাঁর অমন সিদ্ধান্ত নেওয়া।বিশ্বকাপের প্রস্তুতীর
অংশ হিসেবে হুট করে আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে যাওয়া বাংলাদেশ বড় সংগ্রহ দাঁড় করবে এমনটাই অনুমিত ছিলো।কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা ওয়ানডে মেজাজে শুরু করেন।১১রানেই সাব্বির রহমানের শূন্য রানে আউট হওয়ার মাধ্যমে
ওপেনিং জুটি ভেঙে যাবার পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়ছিলো।রান উঠছিলো না তেমন গতিতে। ৭৭
রানে পন্চম উইকেট যখন হারায় টাইগাররা ইনিংসের ১১ ওভার খেলা হয়ে গেছে।এরপরই বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের দৃষ্টি সুখকর চিত্রনাট্যের মঞ্চায়ন শুরু করেন
আফিফ হোসেন।তাঁকে সঙ্গ দেন ইনজুরিতে এশিয়া কাপ
মিস করা নুরুল হাসান সোহান।দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে নয় ওভারে ওঠে ৮১ রান।২০ ওভার শেষে ১৫৮
রান করে বাংলাদেশ।আফিফ হোসেন সাতটি চার ও তিন ছক্কায় ৫৫বলে ৭৭ রানে ও নুরুল হাসান সোহান ২৫ বলে দুটো করে চার ও ছয়ের সাহায্যে ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকেন।১৫৯ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে
ভালো সূচনা পায় আমিরাত।২৭ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর চেরাগ সূরী ব্যাটে ঝড় তুলে ৭ ওভারে দলের স্কোর ৬৬/১ করলে চিন্তার ভাঁজ পড়তে শুরু করে বাংলাদেশ শিবিরে।পরের ওভারে মেহেদী হোসেন সূরীকে আউট করে স্বস্তি এনে দেন দলকে।এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও আস্কিং রেটটা নাগালের ভেতরেই ছিলো আমিরাতের।১২৪ রানে অষ্টম উইকেট হারানোর পর আয়ান আফজাল খাঁন জহির খাঁনকে নিয়ে নবম উইকেট জুটিতে দ্রুত ২৭ রান তুলে জমিয়ে তোলেন ম্যাচ।শরীফুলের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে শেষ পর্যন্ত ১৫১ রানে অলআউট হয়ে যায় আমিরাত।
বাংলাদেশ পায় ৭ রানের স্বস্তির জয়।বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে মেহেদী ১৭ রানে তিনটি ও শরীফুল ২১ রানে তিন উইকেট নেন।
আফিফ হোসেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার পান।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ- বাংলাদেশ ১৫৮/৫(২০ ওভার), আফিফ ৭৭*, সোহান ৩৫*।
আরব আমিরাত ১৫১/১০(১৯.৪)চেরাগ সূরী ৩৯,আয়ান আফজাল ২৫।
মেহেদী হোসেন ৩/১৭,শরীফুল ৩/২১,মোস্তাফিজ ২/৩১।
ইমা