বর্ষাকালে মেঘের গর্জন আর নদীর উচ্ছ্বাসের ভয় আর আতঙ্কে জীবন কাটছে আমাদের কখন কি হয় ঠিক আমাদের জানা নেই আমার চোখের সামনে নদীর গর্ভে বিলীন হয়েছে অনেক পরিবার সেই স্মৃতি মনে পড়লে এখনও হৃদয় কম্পিত হয় উপরের নদী ভাঙ্গনের স্মৃতিচারণ করছিলেন কর্ণফুলী নদীর পাড়ের বাসিন্দা দিলুয়ারা বেগম এরকম হাজারও দিলুয়ারা বেগমের আশ্রয় ঠিকানা কেড়ে নিয়েছে রাক্ষসু কর্ণফুলী নদী।চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে কর্ণফুলী নদীতে ব্যাপক ভাঙনে আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছে কর্ণফুলী নদীর তীরবর্তী শতাধিক পরিবার।
নদীর ভাঙনে ইতোমধ্যে চরনদ্বীপ গ্রামের বেশ কিছু ফসলি জমি ও বসতঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অন্যত্র চলে গেছে অর্ধশত পরিবার। সরেজমিনে দেখা গেছে, নদী ভাঙ্গন রোধে কালুরঘাট ভান্ডালজুড়ি সড়কের পাড় জুড়ে অধিকাংশ এলাকায় ব্লক স্হাপন করা হয় তবে নয়া রাস্তা এলাকা থেকে বড়ুয়া পাড়া পর্যন্ত প্রায় ১৬০ মিটার এলাকায় ব্লক স্হাপন না হওয়ায় সেসব এলাকায় নদীর পাড়ে বসবাসরত মানুষেরা নদী ভাঙ্গনের ভয় ও আতঙ্কে জীবন যাপন করছে।
চরনদ্বীপ ইউসি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক বাবর উদ্দিন জানান, নদীর তীরের শতাধিক পরিবার আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। অনেকেই বসতবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে। ইতোমধ্যে গ্রামের বাসিন্দা মমতাজ মিয়া,দুদু মিয়া,এমতাজ মিয়া,আবদুল হক,রাজা মিয়া,নুর মিয়া,লাল মিয়া,ইউনুচ মিয়া,গোলাফুর রহমান,এজলাস মিয়া,শাহ আলম,বদিউল আলম,জাফর আলম,বাহাদুর আলম,কফিল উদ্দিন,বাবর উদ্দিন,সালা উদ্দিন,কামাল উদ্দিন,সরওয়ার উদ্দিন,নুর হোসেন,আবুল হোসেন, শামশুল আলম,জানে আলম,জাহেদুল আলম,ছালেহ আহমদ,ছাবের আহমদ,মুক্তিযোদ্ধা মরহুম পেয়ার মোহাম্মদ,জাফর আহমদ,কাসেম আলী,হাসেম আলী,আলি মিয়া,মোঃ মানিক ও ইউছুপ আলীর পরিবারসহ অনেক পরিবার নদী ভাঙনের ফলে গৃহহারা হয়েছে।
স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ ঈদু আলম জানান, চরনদ্বীপ নয়া রাস্তা মাথা থেকে বড়ুয়া পাড়া পর্যন্ত ১৬০মিটার ভাঙ্গন রোধে কোন পদক্ষেপ গ্রহন না করায় প্রায় শতাধিক পরিবার ভাঙ্গনের আতংকে দিন কাটাচ্ছেন । তাই ঘরবাড়ি বিলীন হওয়ার আগে ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে আহবান করছি চরনদ্বীপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো.শামশুল আলম আমাদের নতুন সময়কে জানান,আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা নদী ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তয়ন কুমার ত্রিপুরা বলেন,এবিষয়ে আমরা বরাদ্দ চাইছি, বরাদ্দ পেলে করব। অন্যথায় সামনে একটা পুরো কর্ণফুলী চট্টগ্রামের ৪টি উপজেলায় রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, হাটহাজারী ও বোয়ালখালী নতুন প্রজেক্ট তৈরি হচ্ছে।
চট্টগ্রাম ৮ আসের সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদ বলেন,কর্ণফুলী নদী ভাঙ্গন রোধের প্রজেক্টটি একনেকের অপেক্ষায়, একনেকে উঠলে পাশ হয়ে যাবে। একত্রে প্রকল্প হওয়ায় সময় লাগতেছে আলাদা আলাদা হলে পাস হয়ে যেত। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হলে ভাঙ্গনরোধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।
ইমা