ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি ও দলটির অন্যতম শীর্ষস্থানীয় নেতা রাহুল গান্ধীকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) দিল্লিতে বিক্ষোভের সমাবেশের সময় পুলিশ তাকে আটক করে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জিএসটি বৃদ্ধিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ থেকে তাকে আটক করা হয়।
এনডিটিভি বলছে, মঙ্গলবার রাজধানী দিল্লির কেন্দ্রস্থলে জিএসটি বৃদ্ধিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভে অংশ নেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। মূল্যবৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিষয়ে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন তিনি।
এসময় বিপুল সংখ্যক পুলিশ কংগ্রেসের এই প্রতিবাদস্থল ঘিরে রাখে। প্রায় ৩০ মিনিট পর রাহুল গান্ধীকে আটক করেন পুলিশ সদস্যরা। আটকের পর তাকে বাসে তুলে নেওয়া হয়।
এর আগে গত ২১ জুলাই তিনি ইডির দপ্তরে হাজিরা দেন। আজ দ্বিতীয় দফা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে তলব করেছে ইডি। এরই মধ্যে দিল্লি পুলিশ রাজঘাটে ১৪৪ ধারা জারি করেছে।
কংগ্রেস কার্যালয়ের সামনে কর্মী-সমর্থকরা বিক্ষোভ কর্মসূচি করেন। আজ সকাল থেকেই কংগ্রেসের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সর্বভারতীয় মহিলা কংগ্রেসের কর্মীরা ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদের প্রতিবাদে প্ল্যাকার্ড ও কালো বেলুন উড়িয়ে প্রতিবাদ দেখান।
অন্যদিকে কংগ্রেসের সাংসদরা সংসদ চত্বরের গান্ধী মূর্তি থেকে বিজয় চকের দিকে প্রতিবাদ মিছিল করেন। এই প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নেন রাহুল গান্ধীও।
কংগ্রেস মুখপাত্র জয়রাম রমেশ টুইট করে জানান, কংগ্রেসের সাংসদরা বিজয় চক থেকে প্রেসিডেন্ট ভবনের দিকে মিছিল নিয়ে এগোলে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এখন তারা পুলিশ ভ্যানে আছেন। তাদের কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সেটা শুধু প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীই জানেন।
এর আগেই রাহুল গান্ধী এবং সোনিয়াকে একইসঙ্গে তলব করেছিল ইডি। কিন্তু সোনিয়া করোনায় আাক্রান্ত হওয়ায় তখন হাজিরা দিতে পারেননি। তাকে হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয়। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তিনি ইডির কাছে হাজির দেওয়ার জন্য তিন সপ্তাহ সময় চান। সে অনুসারে ইডি তাকে সময় দেয়। সূত্র: এনডিটিভি।